সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পশ্চিবঙ্গে কবিতা উৎসব ২০২৩, উদ্বোধন করলেন ব্রাত্য বসু

পশ্চিবঙ্গের বৃহত্তম কবিতা উৎসব ২০২৩ উদ্বোধন করলেন ব্রাত্য বসু

ফারুক আহমেদ

পশ্চিবঙ্গে কবিতা উৎসব ২০২৩


বুধবার রবীন্দ্র সদন একতারা মঞ্চে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত কবিতা আকাদেমির আয়োজনে ৭ম কবিতা উৎসব ২০২৩-এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান দাগ কেটেছে।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ভারতের বৃহত্তম কবিতা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করলেন উচ্চশিক্ষা এবং বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সভাপতি শ্রী ব্রাত্য বসু, উপস্থিত ছিলেন সভামুখ্য সুবোধ সরকার, মাননীয় সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমি, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, আলাপন বন্দ্যেপাধ্যায়, ব্রততী বন্দ্যেপাধ্যায়, প্রণতি ঠাকুর, কৌশিক বসাক প্রমুখ। রবীন্দ্রসদন, শিশির মঞ্চ, বাংলা আকাদেমি সভাগৃহ, জীবনানন্দ সভাঘর, অবনীন্দ্র সভাঘর, নন্দন-৩, চারুকলা পর্ষদ সংলগ্ন প্রাঙ্গণ ও একতারা মুক্তমঞ্চে উৎসব শুরু হয়েছে। ৩ মে থেকে চলবে ৬ মে ২০২৩ পর্যন্ত।

ভারতের বৃহত্তম কবিতা উৎসবে দ্বিতীয় দিনেই শিশির মঞ্চে কবিতা পাঠ করলেন কবি ও উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট কবি। এদিন ৪ মে শিশির মঞ্চে কবিতা পাঠ করেন কবি মঞ্জুভাষ মিত্র, আবদুর রব খান, শিবাশিস মুখোপাধ্যায়, তারেক কাজী, তন্ময় চক্রবর্তী, অয়ন চৌধুরী, গৌতম মণ্ডল, প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়, ঋজুরেখ চক্রবর্তী প্রমুখ।

৩ মে ২০২৩ বাংলা ভাষার সব থেকে বড়ো কবিতা উৎসব উদ্বোধন মঞ্চ ভরে উঠে বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক এবং আবৃত্তিকারদের উপস্থিতিতে। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করলেন কবি সুবোধ সরকার, সভাপতি পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমি।

কবি ফারুক আহমেদ সহ বহু কবিকে পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কবিতা উৎসবে কবিতা পাঠ করার জন্য।

৫ মে চারুকলা সংলগ্ন মঞ্চে আবৃত্তিতে রয়েছেন এই সময়ের মান্য আবৃত্তিশিল্পী আবৃত্তিওয়ালা ড. পিনাকী চট্টোপাধ্যায়। এই দিন আবৃত্তিওয়ালা ড. পিনাকীর নির্বাচনে দুই বাংলার বিশিষ্ট কবিদের কবিতা। কবিতা উৎসবের এই মঞ্চ সেদিন পিনাকীর উদাত্ত কণ্ঠের নিবেদনে মুখর হবে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারি উদ্যোগে আয়োজিত এই মহা কবিতা উৎসব ও সাংস্কৃতিক মিলনট

প্রয়াসের আয়োজনে কবিতা পাঠের জন্য কবি ফারুক আহমেদকে লিখিত আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমি তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য সচিব।

কবি ও সম্পাদক ফারুক আহমেদ এক বিবৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরাকারি উদ্যোগে সাংস্কৃতিক উৎসবে কবিতা পাঠের জন্য আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি কৃতজ্ঞ সরকারের কাছে। সরকারি উদ্যোগে ভারতের বৃহত্তর কবিতা উৎসব সার্বিকভাবে সফল করতে কবি সুবোধ সরকার-এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমি, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকেও কুর্নিশ জানিয়েছেন, কবি ফারুক আহমেদ।

কবি সুবোধ সরকার তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন "উদ্বোধন ও সম্মাননা জ্ঞাপন। রবীন্দ্র সদন প্রাঙ্গনে একতারা মঞ্চে।সন্ধ্যা ছটায়। সম্মাননা পেলেন কবি সুধেন্দু মল্লিক, নির্মল হালদার, পায়েল সেনগুপ্ত, সোহেল ইসলাম। বাচিক শিল্পী, মুরারী মোহন চক্রবর্তী, সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাম্য কার্ফা।

সাড়ে ছশ অংশগ্রহণকারী। আটটি মঞ্চ। চাঁদের হাট। চারদিন। নতুনরা অনেকে ডাক পেয়েছেন। উত্তরোত্তর আরও পাবেন। আর একটি কথা, কবিতা আকাদেমির সম্মাননীয় সদস্যরা এবার কবিতা পড়ছেন না। অর্থাৎ আমরা পড়ছি না। আমাদের জায়গায় নতুনরা পড়ছেন। আসুন, দেখা হবে।"

মন্তব্যসমূহ

বাংলা সাহিত্য : বহুল-পঠিত লেখাগুলো পড়ুন

বেস সাহিত্য উৎসব ২০২৪

বেস সাহিত্য উৎসব ২০২৪ BASE Literary Festival 2024 বাঙালি মুসলিমদের পিছিয়ে পড়ার বহু কারণ বিভিন্ন সময়ে চিহ্নিত করা হয়, তার মধ্যে অনেক কিছু নিয়েই বিতর্ক থাকতে পারে কিন্তু একটি কারণ সম্পর্কে সকলেই সহমত পোষণ করেন, মুসলিম মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবি শ্রেণীর অভাব। সেই অভাব যে পূরণ হয়েছে, সেই প্রমাণ হাজির করতেই বেঙ্গলি অ্যাকাডেমিয়া ফর সোশ্যাল এম্পাওয়ারমেণ্ট বা সংক্ষেপে বেস সম্প্রতি একদিনের সাহিত্যসভার আয়োজন করেছে রবীন্দ্রতীর্থে (নিউটাউন) গত ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪। ঐ সভায় ষাটের অধিক মুসলিমসহ অন্যান্য প্রান্তিক সমাজের সাহিত্যিক, অনুবাদক, আলোচক, অধ্যাপক ও শিক্ষকদের উপস্থিতি শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতে মুসলিম সমাজে নিজস্ব পরিসর সৃষ্টি করে নেওয়ার প্রমাণ উপস্থাপিত করে, যা উল্লেখিত সাহিত্য সভার নিঃসন্দেহে এক উল্লেখযোগ্য দিক। ঐ সাহিত্য সভার দ্বিতীয় উল্লেখযোগ্য দিক ছিল সভার মূখ্য আলোচ্য বিষয় "প্রান্তিক সাহিত্যচর্চার পরিসর"। তৃতীয় কিন্তু গুরুত্বের দিক থেকে কোন অংশেই কম নয় যে বিষয়টি তা হল প্রান্তিক সাহিত্যের দুই ধারা দলিত সাহিত্যিক এবং মুসলিম প্রান্তিক সাহিত্যিকদের মধ্যে ভাবের আদান প্রদানের এ...

চলে গেলেন কবিতা পাক্ষিক এর পুরোধা পুরুষ প্রভাত চৌধুরী

প্রভাত চৌধুরী। অধুনান্তিক কবিতা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধাপুরুষ এবং কবিতা পাক্ষিকের প্রাণপুরুষ। - লিখেছেন আলী হোসেন। বিশ শতকের ষাটের দশকে শুরু। শেষ করলেন একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকে। কবি প্রভাত চৌধুরী লিখেছিলেন, 'আমি মূলত পক্ষাঘাতগ্রস্ত অথর্ব সভ্যতার জারজ সন্তান'। কী বোঝাতে  চেয়েছিলেন তিনি? গবেষকরা নিশ্চয়ই তা অনুসন্ধানে বসবেন। প্রভাত চৌধুরীর জন্ম ১৯৪৪ সালের ১৬ জুন বাঁকুড়া জেলায়। পরে কর্মসূত্রে আসেন কলকাতার ভবানীপুরে, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে। তবে কবিতা নিয়ে তার আলাদা বাসরঘর গড়ে উঠেছিল পটলডাঙ্গা স্ট্রিটে। 'কৃত্তিবাস' পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর কবিতা। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘শুধু প্রেমিকার জন্য'। কবিতা নিয়েই ছিল তার দিনযাপন এবং নিশিযাপন। তবে শুধু কবিতার জন্যে নয়, সমগ্র বাংলা সাহিত্যের জন্যেও নিবেদিত ছিল তাঁর মনপ্রাণ। আশির দশকে সাময়িকভাবে জীবন নদীর ভাটার টানে নিজেকে গুটিয়ে রাখলেও নয়ের দশকে শুরু হয় নতুন উদ্যমে পথ চলা। এই সময়ই শুরু করেন (১৯৯৩ সাল থেকে) পত্রিকা ‘কবিতা পাক্ষিক’ প্রকাশ ও প্রচার। এরপর এই পত্রিকাই ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে বাংলার নতুনধারার তরুণ কবিদে...

লেখা পাঠাতে চান? লেখা পাঠানোর নিয়ম জানতে ক্লিক করুন নিচের 'লেখা পাঠান' ট্যাবে

-----------------------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------------------

🙏 সবিনয় আবেদন 🙏

সুধী পাঠক ও লেখকবন্ধু,

বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন যেহেতু কোন বিজ্ঞাপন গ্রহণ করে না, সেহেতু ম্যাগাজিন পরিচালনার সমস্ত খরচ ম্যাগাজিন কতৃপক্ষকেই বহন করতে হয়। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে এই ভার বহন করা দুরহ হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা আপনাদের পত্রিকার গ্রহক হওয়ার অনুরোধ করছি। 

গ্রাহক মুল্য বছরে ১০০ (এক শত) টাকা মাত্র।

নিচের ব্যাংক একাউন্টে গ্রাহক চাঁদা প্রদান করে Transaction ID ইমেল করে পাঠালেই আপনি গ্রাহক হয়ে যাবেন।

আপনারা চাইলে আমাদের আর্থিকভাবে সহায়তাও করতে পারেন।

👩 যে কোন পরিমাণ ( সর্বনিম্ন 10 টাকা / দশ টাকা ) সহায়তা সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করা হবে।
অর্থ পাঠানোর একাউন্টসের বিবরণ :
1) Account Holder's Name : K. N. Mondal
2) Bank Name : Bank Of Baroda
3) Account No. 2759-0100-0151-24
4) IFS CODE : BARB0BRAPUR (Fifth Character is ZERO)
অর্থ পাঠালে অবশ্যই ইমেল করে ট্রাঞ্জাকশন আইডি (Transaction ID) পাঠাতে ভুলবেন না।
আপনার পাঠানো অর্থের অবশ্যই প্রাপ্তি স্বীকার করা হবে।
আমাদের EMAIL ID : nehacomputeraids@gmail.com