কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ঊননব্বইতম জন্মদিন উপলক্ষে রোটারি সদনে এক মনোজ্ঞ সাহিত্য সমাবেশ। সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ আকাদেমি পুরস্কার' প্রদান করা হলো কথাসাহিত্যিক সমীর রক্ষিতকে।
গত ঊনত্রিশে অক্টোবর সন্ধ্যায় কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ঊননব্বইতম জন্মদিন উপলক্ষে রোটারি সদনে এক মনোজ্ঞ সাহিত্য সমাবেশে 'সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ আকাদেমি পুরস্কার' প্রদান করা হলো কথাসাহিত্যিক সমীর রক্ষিতকে। তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দিলেন কবি শঙ্খ ঘোষ। অনুষ্ঠানে সভামুখ্য হিসেবে ছিলেন কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান। আলোচক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক সুমিতা চক্রবর্তী ও কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দুটি রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন সুস্মিতা পাত্র। অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান কথাসাহিত্যিক অভিজিৎ সেন, স্বপ্নময় চক্রবর্তী, তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও রামকুমার মুখোপাধ্যায়। সুস্মিতাকে অভ্যর্থনা জানায় আবৃত্তিশিল্পী চন্দ্রিমা রায়। এইসঙ্গে সিরাজ ও সমীর রক্ষিতের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করে শোনায় চন্দ্রিমা। সিরাজের সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করেন অমর মিত্র আর সমীর রক্ষিতের সাহিত্য নিয়ে সুমিতা চক্রবর্তী।
বাংলাদেশেও শিক্ষিত পাঠকদের কাছে সমাদৃত সিরাজ, বলেন তৌফিক হাসান। সবশেষে সভামুখ্য শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় তাঁর নিবিড় অন্তরঙ্গ স্মৃতিচারণায় তুলে ধরেন বন্ধু সিরাজকে। তিনি বলেন, সিরাজের সঙ্গে তাঁর তর্ক-বিতর্ক হতো প্রবল। তাঁদের দুজনের দৃষ্টিভঙ্গির ফারাকও ছিল বিস্তর। কিন্তু দুজনের মধ্যে ছিল অকৃত্রিম বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা। শীর্ষেন্দু বলেন, সিরাজের প্রথমদিকের লেখা 'উত্তর জাহ্নবী', 'মায়ামৃদঙ্গ' এক-একটি অসাধারণ উপন্যাস। আর 'সিরাজের এক-একটি ছোটগল্প পড়ে মনে হতো তার পায়ের ধুলো নিই', বলেন শীর্ষেন্দু।
প্রায় পৌনে দু'ঘণ্টা সময়ব্যাপী পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহের শ্রোতারআ নিঃশব্দ ও নিবিষ্ট হয়ে শুনেছেন এইসব আলোচনা। এমন মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্যানুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে খুব ভালো লেগেছে-- এ কথা জানিয়েছেন শ্রোতারা। সিরাজ আকাদেমির পক্ষ থেকে তাঁদের সবাইকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ছবিঋণ- Aloke Ranjan Choudhury।
ছবিঋণ- Aloke Ranjan Choudhury।
মন্তব্যসমূহ