বাংলাদেশে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে। রাজনীতিক, সাংবাদিক, অংশীজনের প্রতিবাদ সত্ত্বেও গত ১৯শে সেপ্টেম্বর আইনটি জাতীয় সংসদে পাস হয়। প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ গত ৮ই অক্টোবর বিলে সম্মতি দেন। এই আইনের প্রতিবাদ জানাতে অনেকটা নজিরবিহীনভাবে জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকরা রাজপথে মানববন্ধন করেন। আইনটি সংশোধনের দাবিতে সারাদেশের সাংবাদিকরাও প্রতিবাদ জানান। আইনমন্ত্রী, তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করে আইনটি সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট জানিয়ে দেন আইনটি সংসদে পাস হয়ে গেছে। এই অবস্থায় সংশোধনের সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের আগে সংশোধনের সুযোগ নেই।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানানো অব্যাহত রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে এই আইনের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, এ নিয়ে সরকার ও সুশীল সমাজের মধ্যে সংলাপ জরুরি। যুক্তরাষ্ট্র আরো বলেছে, আইনের প্রয়োজন আছে ঠিকই, তবে গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে বিসর্জন দিয়ে নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নও উদ্বেগ জানিয়েছে।
এ আইনে সর্বোচ্চ সাজা ১৪ বছর। ১ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
উৎস : ভয়েস অব আমেরিকা
মন্তব্যসমূহ