ছবি : নীলাদ্রি ভৌমিক।
আলিপুরদুয়ার : মদ-জুয়ার প্রতিবাদ করায় গত ৩০ অক্টোবর সোনারপুরে শিক্ষক রুপন দাসকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে৷ শুধু তাই নয়, মারধরের ফলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলা রুপনের সামনে তারা বন্দুকটি ফেলে রাখে বলেও অভিযোগ ওঠে ৷ আর তার জেরেই দুষ্কৃতীদের বদলে হাসপাতালে ভর্তি রুপনকেই পুলিশ গ্রেফতার করে৷
এই ঘটনার জেরে প্রতিবাদে সরব হয় বিভিন্ন মহল৷ রুপনের মুক্তির দাবিতেও সরব হয় তারা। রবিবার ওই ঘটনার প্রতিবাদে আলিপুরদুয়ার চৌপথিতে পথসভার ডাক দেয় একটি মঞ্চ৷ সেখানে মূল বক্তা ছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য৷ সভায় উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের রুপনের মুক্তির দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করে যাওয়ার আহ্বানও জানান বিকাশবাবু৷
ছবি : নীলাদ্রি ভৌমিক
রুপনের গ্রেফতার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরির অভিযোগ তুলেছিলেন শাসকদল তৃণমূলের নেতারা৷ এ দিনও তাঁদের সুর পাল্টায়নি৷ তবে একইসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ যে কোনও বিষয় নিয়ে আদালতে মমলা করতেই পারেন৷ তবে এ ক্ষেত্রে মামলা হলে মামলাকারীরই মুখ পুড়বে৷’’
সূত্রের খবর বিকাশবাবু আদালতে পৌঁছলেও সঠিক সময়ে পুলিশ কেস ডাইরি জমা না দেওয়ায় তিনি শেষ পর্যন্ত আদালত ত্যাগ করেন। অভিযোগ করেন, পুলিশ ইচ্ছা করেই দেরিতে কেস ডাইরি জমা দিয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
বিকাশ বাবু না থাকলেও রূপনের আইনজীবীরা তাঁর জামিনের জন্য সওয়াল করেন। রূপনের পক্ষের আইনজীবী সোমশঙ্কর দত্ত ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন রুপনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যে মিথ্যা আমরা সেটাই আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়েই আদালত রুপনের জামিন মন্জুর করেন।
মন্তব্যসমূহ