সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ফিরহাদ হাকিম কলকাতার মেয়র, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত - সম্পাদক, উদার আকাশ

ফারুক আহমেদ : বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিলেন ফিরহাদ হাকিমকে কলকাতার মেয়র করে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের মধ্যে তিনি একটা বড় বার্তা দিলেন। সারা জুড়ে যেসমস্ত জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীরা আছেন তাঁদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার থেকে একটু বেশি জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যিনি মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হয়ে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের দেশ ভারত গড়তে কাজ করছেন। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য উদার মনোভাবের পরিচয় দিয়ে সকলের জন্য তিনি কাজ করার সুযোগ পেলে যে তা করতে বা সরকারের হস্তক্ষেপ করতে পিছুটানকে তোয়াক্কা করেন না তা প্রমাণ হল। মানব কল্যাণে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের বড় অংশ জোটবদ্ধ হয়ে উঠছেন।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে জনপ্রিয় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনে দাগ কেটেছিল ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরহাদ হাকিমকে মেয়রের দায়িত্ব দিয়ে একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা শহরের স্থানীয় স্বায়ত্ত্বশাসন সংস্থা হল কলকাতা পৌরসংস্থা বা কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। এটি একটি বিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থা। কলকাতা শহরের ১৮৮ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলের পুর পরিষেবা দেওয়া ও নগরাঞ্চলের উন্নয়ন কলকাতা পৌরসংস্থার প্রাথমিক দায়িত্ব। এই পুরসভার নেতৃত্ব দেন মহানাগরিক বা মেয়র৷

১৯২৩ সালে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা সরকারের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন মন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি আইন মোতাবেক কলকাতা কর্পোরেশনের গণতন্ত্রীকরণ করেন। সংস্থার দায়িত্ব বৃদ্ধি পায় এবং এর উপর সরকারের  হস্তক্ষেপের অধিকার খর্ব করা হয়। মানিকতলা, কাশীপুর, চিৎপুর ও গার্ডেনরিচ এবং নতুন বন্দর অঞ্চলের বিরাট অংশ তখন কলকাতা কর্পোরেশনের এক্তিয়ারভুক্ত হয়। পরে অবশ্য এই কলকাতা পুরসভার সীমানা বেড়েছে৷

কলকাতা মহানগারিকদের তালিকাঃ

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, (১৬/০৪/১৯২৪-১৭/০৭/১৯২৫)

দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত,(১৭/০৭/১৯২৫-০২/০৪/১৯২৮)
বিজয়কুমার বসু,(০২/০৪/১৯২৮-১০/০৪/১৯২৯)
দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত,(১০/০৪/১৯২৯-২২/০৮/১৯৩০)
সুভাষচন্দ্র বোস,(২২/০৮/১৯৩০-১৫/০৪/১৯৩১)
ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়,(১৫/০৪/১৯৩১-০৯/০৪/১৯৩৩)
সন্তোষকুমার বসু,(০৯/০৪/১৯৩৩-০৪/০৭/১৯৩৪)
নলিনীরঞ্জন সরকার,(০৪/০৭/১৯৩৪-৩০/০৪/১৯৩৫)
আবুল কাশেম ফজলুল হক,(৩০/০৪/১৯৩৫-২৯/০৪/১৯৩৬)
স্যার হরিশঙ্কর পাল,(২৯/০৪/১৯৩৬-২৮/০৪/১৯৩৭)
সনৎকুমার রায়চৌধুরি,(২৮/০৪/১৯৩৭-২৯/০৪/১৯৩৮)
এ কে এম জাকারিয়া,(২৯/০৪/১৯৩৮-২৬/০৪/১৯৩৯)
নিশীথচন্দ্র সেন,(২৬/০৪/১৯৩৯-২৪/০৪/১৯৪০)
আবদুর রহমান সিদ্দিকি,(২৪/০৪/১৯৪০-২৮/০৪/১৯৪১)
ফণীন্দ্রনাথ ব্রহ্ম,(২৮/০৪/১৯৪১-২৯/০৪/১৯৪২)
হেমচন্দ্র নস্কর,(২৯/০৪/১৯৪২-৩০/০৪/১৯৪৩)
সাঈদ বদরুদ্দোজা,(৩০/০৪/১৯৪৩-২৬/০৪/১৯৪৪)
আনন্দিলাল পোদ্দার,(২৬/০৪/১৯৪৪-২৭/০৪/১৯৪৫)
দেবেন্দ্রনাথ মুখার্জি,(২৭/০৪/১৯৪৫-২৯/০৪/১৯৪৬)
সাইদ মহম্মদ উসমান,(২৯/০৪/১৯৪৬-২৯/০৪/১৯৪৭)
সুধীরচন্দ্র রায়চৌধুরি,(২৯/০৪/১৯৪৭-০১/০৫/১৯৫২)
নির্মলচন্দ্র চন্দ্র ,(০১/০৫/১৯৫২-০৬/০৩/১৯৫৩)
নরেশনাথ মুখার্জি ,(০৬/০৩/১৯৫৩-২৫/০৪/১৯৫৫)
সতীশচন্দ্র ঘোষ ,(২৫/০৪/১৯৫৫-২৯/০৪/১৯৫৭)
ডাঃ ত্রিগুণা সেন ,(২৯/০৪/১৯৫৭-০৮/০৪/১৯৫৯)
বিজয়কুমার ব্যানার্জি ,(০৮/০৪/১৯৫৯-০৮/০৬/১৯৬০)
কেশবচন্দ্র বসু ,(০৮/০৬/১৯৬০-২৮/০৪/১৯৬১)
রাজেন্দ্রনাথ মজুমদার ,(২৮/০৪/১৯৬১-০৮/০৪/১৯৬৩)
চিত্তরঞ্জন চ্যাটার্জি ,(০৮/০৪/১৯৬৩-২৬/০৪/১৯৬৫)
ডাঃ প্রীতিকুমার রায়চৌধুরি ,(২৬/০৪/১৯৬৫-২৪/০৪/১৯৬৭)
গোবিন্দচন্দ্র দে ,(২৪/০৪/১৯৬৭-১৩/০৬/১৯৬৯)
প্রশান্তকুমার শূর ,(১৩/০৬/১৯৬৯-২৩/০৪/১৯৭১)
শ্যামসুন্দর গুপ্ত ,(২৩/০৪/১৯৭১-৩০/০৭/১৯৮৫)
কমলকুমার বসু ,(৩০/০৭/১৯৮৫-৩০/০৭/১৯৯০)
প্রশান্ত চ্যাটার্জি ,(৩০/০৭/১৯৯০-১২/০৭/২০০০)
সুব্রত মুখার্জি ,(১২/০৭/২০০০-০৫/০৭/২০০৫)
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ,(০৫/০৭/২০০৫-১৬/০৬/২০১০)


শোভন চট্টোপাধ্যায় ,(১৬/০৬/২০১০—২২/১১/২০১৮)"

ফারুক আহমেদ : সম্পাদক, উদার আকাশ

মন্তব্যসমূহ

বাংলা সাহিত্য : বহুল-পঠিত লেখাগুলো পড়ুন

পশ্চিবঙ্গে কবিতা উৎসব ২০২৩, উদ্বোধন করলেন ব্রাত্য বসু

পশ্চিবঙ্গের বৃহত্তম কবিতা উৎসব ২০২৩ উদ্বোধন করলেন ব্রাত্য বসু ফারুক আহমেদ বুধবার রবীন্দ্র সদন একতারা মঞ্চে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত কবিতা আকাদেমির আয়োজনে ৭ম কবিতা উৎসব ২০২৩-এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান দাগ কেটেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ভারতের বৃহত্তম কবিতা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করলেন উচ্চশিক্ষা এবং বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সভাপতি শ্রী ব্রাত্য বসু, উপস্থিত ছিলেন সভামুখ্য সুবোধ সরকার, মাননীয় সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমি, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, আলাপন বন্দ্যেপাধ্যায়, ব্রততী বন্দ্যেপাধ্যায়, প্রণতি ঠাকুর, কৌশিক বসাক প্রমুখ। রবীন্দ্রসদন, শিশির মঞ্চ, বাংলা আকাদেমি সভাগৃহ, জীবনানন্দ সভাঘর, অবনীন্দ্র সভাঘর, নন্দন-৩, চারুকলা পর্ষদ সংলগ্ন প্রাঙ্গণ ও একতারা মুক্তমঞ্চে উৎসব শুরু হয়েছে। ৩ মে থেকে চলবে ৬ মে ২০২৩ পর্যন্ত। ভারতের বৃহত্তম কবিতা উৎসবে দ্বিতীয় দিনেই শিশির মঞ্চে কবিতা পাঠ করলেন কবি ও উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট কবি।

আসাদ চৌধুরী এখন থেকে চিরজীবিত : মুহম্মদ নূরুল হুদা

বাংলা ও বাঙালির প্রিয় কবি আসাদ চৌধুরী এখন থেকে চিরজীবিত বাংলা ও বাঙালির প্রিয় কবি আসাদ চৌধুরী মুহম্মদ নূরুল হুদা, মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমি বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত কবি, বাংলা একাডেমির ফেলো ও সাবেক পরিচালক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ চৌধুরী আজ ০৫ই অক্টোবর ২০২৩ কানাডার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। এখন থেকে তিনি চিরজীবিত। তিনি অনন্তলোকে চিরশান্তিতে থাকুন। আসাদ চৌধুরী আধুনিক বাংলা কবিতায় এক অনিবার্য নাম, বাংলাদেশের ষাটের দশকের কবিতা আন্দোলনের কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব। তাঁর কবিতায় বাংলার প্রকৃতি ও বাংলাদেশের জনজীবন যেমন অনুপম ব্যঞ্জনায় ভাস্বর হয়েছে তেমনি এদেশের সুদীর্ঘ সংগ্রামী ঐতিহ্য অসাধারণ স্বাতন্ত্র্যে ভাষারূপ পেয়েছে। কবিতার পাশাপাশি প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য, অনুবাদ, জীবনী, ভ্রমণকাহিনিসহ বিচিত্র সাহিত্যক্ষেত্রে ছিল তাঁর সফল ও স্বচ্ছন্দ বিচরণ। সমকালীন বাংলা সাহিত্যে তিনি একজন বহুমাত্রিক স্রষ্টা। বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত তাঁর 'কোন অলকার ফুল', 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ' কিংবা 'সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু'-এর মতো বইগুলো এদেশের কয়েক প্রজন্মের

বেস সাহিত্য উৎসব ২০২৪

বেস সাহিত্য উৎসব ২০২৪ BASE Literary Festival 2024 বাঙালি মুসলিমদের পিছিয়ে পড়ার বহু কারণ বিভিন্ন সময়ে চিহ্নিত করা হয়, তার মধ্যে অনেক কিছু নিয়েই বিতর্ক থাকতে পারে কিন্তু একটি কারণ সম্পর্কে সকলেই সহমত পোষণ করেন, মুসলিম মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবি শ্রেণীর অভাব। সেই অভাব যে পূরণ হয়েছে, সেই প্রমাণ হাজির করতেই বেঙ্গলি অ্যাকাডেমিয়া ফর সোশ্যাল এম্পাওয়ারমেণ্ট বা সংক্ষেপে বেস সম্প্রতি একদিনের সাহিত্যসভার আয়োজন করেছে রবীন্দ্রতীর্থে (নিউটাউন) গত ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪। ঐ সভায় ষাটের অধিক মুসলিমসহ অন্যান্য প্রান্তিক সমাজের সাহিত্যিক, অনুবাদক, আলোচক, অধ্যাপক ও শিক্ষকদের উপস্থিতি শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতে মুসলিম সমাজে নিজস্ব পরিসর সৃষ্টি করে নেওয়ার প্রমাণ উপস্থাপিত করে, যা উল্লেখিত সাহিত্য সভার নিঃসন্দেহে এক উল্লেখযোগ্য দিক। ঐ সাহিত্য সভার দ্বিতীয় উল্লেখযোগ্য দিক ছিল সভার মূখ্য আলোচ্য বিষয় "প্রান্তিক সাহিত্যচর্চার পরিসর"। তৃতীয় কিন্তু গুরুত্বের দিক থেকে কোন অংশেই কম নয় যে বিষয়টি তা হল প্রান্তিক সাহিত্যের দুই ধারা দলিত সাহিত্যিক এবং মুসলিম প্রান্তিক সাহিত্যিকদের মধ্যে ভাবের আদান প্রদানের এ

লেখা পাঠাতে চান? লেখা পাঠানোর নিয়ম জানতে ক্লিক করুন নিচের 'লেখা পাঠান' ট্যাবে

-----------------------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------------------

🙏 সবিনয় আবেদন 🙏

সুধী পাঠক ও লেখকবন্ধু,

বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন যেহেতু কোন বিজ্ঞাপন গ্রহণ করে না, সেহেতু ম্যাগাজিন পরিচালনার সমস্ত খরচ ম্যাগাজিন কতৃপক্ষকেই বহন করতে হয়। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে এই ভার বহন করা দুরহ হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা আপনাদের পত্রিকার গ্রহক হওয়ার অনুরোধ করছি। 

গ্রাহক মুল্য বছরে ১০০ (এক শত) টাকা মাত্র।

নিচের ব্যাংক একাউন্টে গ্রাহক চাঁদা প্রদান করে Transaction ID ইমেল করে পাঠালেই আপনি গ্রাহক হয়ে যাবেন।

আপনারা চাইলে আমাদের আর্থিকভাবে সহায়তাও করতে পারেন।

👩 যে কোন পরিমাণ ( সর্বনিম্ন 10 টাকা / দশ টাকা ) সহায়তা সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করা হবে।
অর্থ পাঠানোর একাউন্টসের বিবরণ :
1) Account Holder's Name : K. N. Mondal
2) Bank Name : Bank Of Baroda
3) Account No. 2759-0100-0151-24
4) IFS CODE : BARB0BRAPUR (Fifth Character is ZERO)
অর্থ পাঠালে অবশ্যই ইমেল করে ট্রাঞ্জাকশন আইডি (Transaction ID) পাঠাতে ভুলবেন না।
আপনার পাঠানো অর্থের অবশ্যই প্রাপ্তি স্বীকার করা হবে।
আমাদের EMAIL ID : nehacomputeraids@gmail.com