সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

চিন ও ভারতের সীমান্ত সমস্যার প্রেক্ষাপট : বামপন্থীদের অবস্থান

আলী হোসেন, কলকাতা : সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর তা হলো বামপন্থীরা চিনের আগ্রাসন নিয়ে মুখ খুলছে না কেন? এখানে আমেরিকা হলে তো কলকাতা শহর কেঁপে উঠতো।

সত্যি কথা বলতে কি কলকাতা কাঁপানো মত ক্ষমতা বা পরিস্থিতি বর্তমানে বামপন্থী কেন কোনো পন্থীরই এখন আর নেই। কিন্তু চিন নিয়ে বামপন্থীদের অবস্থান স্পষ্টই আছে। বামপন্থীরা চিনের এই আগ্রাসনের বিরোধিতা করছে। আমার মনে হয় সাধারণ মানুষের কাছে সে খবরগুলো পৌঁছাচ্ছে না।
না পৌঁছানোই স্বাভাবিক। কারণ, ডানপন্থী মিডিয়াগুলো বামপন্থীরা আমেরিকার বিরুদ্ধে কথা বললে, সেটা ফলাও করে খবর করে এবং বামপন্থীদের ভাবনা ভুল - এটা প্রমাণ করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। আজকের পরিস্থিতিতে চিনের বিরুদ্ধে বলা বক্তব্য তারা গুরুত্ব দিয়ে খবর করছে না। এটা ডানপন্থী মিডিয়ার একটা রাজনৈতিক কৌশল। কারণ, চিন নিয়ে বামপন্থীদের অবস্থান পরিষ্কার হলে এরা বামপন্থীদের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালাতে পারবে না। বামপন্থীদের বিরুদ্ধে এদেশের মিডিয়া যে প্রোপাগান্ডা চালায়, তার প্রধান ভিত্তি হচ্ছে পৃথিবীর কমিউনিস্ট দেশগুলির সম্পর্কে এদেশের বামপন্থীদের ধারণাকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা। তাই এই দেশগুলির কোন সমালোচনা বামপন্থীরা করলেও তা ফলাও করে এরা ছাপে না। কারণ তা ছাপালে বামপন্থীদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা করা আর সম্ভব হবে না। মানুষ বুঝে ফেলবে যে বামপন্থীরা যা বলে, তার যথাযত ভিত্তি আছে।

আসলে আমি যে কথাগুলো বললাম এই কথাগুলো বুঝতে গেলে আমাদের বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে এবং তারই প্রেক্ষিতে বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। যদি সেটা থাকে, তাহলেই ছোট্ট যে কথাগুলো বললাম, সেগুলো বোঝা যাবে। যদি সেখানে কোন ঘাটতি থাকে তাহলে বোঝা একটু কঠিন হবে।

আসলে পৃথিবীতে যত যুদ্ধ-বিগ্রহ হচ্ছে তার মূল ভিত্তি হচ্ছে পৃথিবীতে কোন অর্থনীতি চালু থাকবে তা নিয়ে মতপার্থক্য এবং মতবিরোধ। পৃথিবীতে অর্থনীতির মূল কাঠামো আছে দুটি। একটা সমাজতান্ত্রিক, অন্যটি ধনতান্ত্রিক। তবে তার রূপ এক এক দেশে ভিন্ন ভিন্ন রকম। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন চেহারায় যে লড়াই চলছে তা মূলত এই দুটি অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে লড়াই।

এই দুটো অর্থনীতির একটি গুণগত পার্থক্য আছে। ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি সমাজে ধনবৈষম্যকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়। তাতে ব্যক্তির হাতে ইচ্ছামত ধনসম্পদ সঞ্চয় করা যায়। অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি ধন বৈষম্য ধ্বংস করতে চায়। তারা চায় ধন-সম্পদের সামাজিক মালিকানা তৈরি হোক এবং ধনসম্পত্তি সমস্ত মানুষের মধ্যে সমানভাবে বণ্টিত হোক। আর এটা হলে একজন ব্যক্তি লাগামহীনভাবে তার সম্পত্তি বাড়াতে পারবে না এবং গরীব ও মধ্যবিত্তকে তার প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না।

আজকের পৃথিবীতে ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে আমেরিকা। আর সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির পৃষ্ঠপোষক ১৯৯০ দশকের আগে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর সেই জায়গায় আস্তে আস্তে নিয়ে নিয়েছে চিন। তাই আজকের পৃথিবীতে মূল যে লড়াই তা মূলত আমেরিকার সঙ্গে চিনের।

এখন প্রশ্ন হতে পারে, এর সাথে চিনের ভারতের ভূখণ্ড দখলের সম্পর্ক কোথায়? প্রশ্নটা খুব স্বাভাবিক এবং সহজ। কিন্তু উত্তরটা স্বাভাবিক হলেও মোটেই সহজ নয়।

আজকে যে দু'দেশের মধ্যে যুদ্ধ-যুদ্ধ পরিস্থিতি তা ভারত এবং চিন দুই দেশের পক্ষেই মারাত্মক ক্ষতিকর। এটা দুদেশেরই বোদ্ধা মানুষেরা খুব সহজেই বুঝতে পারে। দু দেশের সরকারও জানে সে কথা। তা সত্ত্বেও এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

কেন? এটা সাধারন মানুষ সহজে বুঝতে পারবেন না।

আসলে এখানেও রয়েছে সেই আমেরিকা এবং চিনের বিশ্ব অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল। আমেরিকা ভয় পাচ্ছে চিনের অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে এবং চিন যেভাবে শক্তিশালী হচ্ছে, আটকাতে না পারলে, আগামী দিনে চিনই হবে পৃথিবীর দাদা। তাই তাকে আটকাতেই হবে। চিনকে আটকাতে গেলে তার হাতের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে ভারত। ভারতের বড় বাজার রয়েছে, রয়েছে সস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্রমিক পাওয়ার সুবিধা। ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির জন্য যা খুবই দরকারি। তাই ধনতন্ত্রের প্রসারের জন্য ভারতে চিনের প্রভাব বাড়তে দিলে চলবে না।

আর এই প্রেক্ষিতেই আমেরিকার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের বাজারে চিনের পর্যাপ্ত বিনিয়োগ। ভারতের বাজারের ৭৫% থেকে ৮০% ভোগ্য পণ্যের বাজার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চিনের দখলে। যেহেতু চিনের প্রোডাক্ট সস্তা (এবং সেই সস্তা হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে সেদেশের সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের অর্থনীতি) সেহেতু আমেরিকা বা অন্য ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বেশি দামী পণ্য ভারতের বাজারে চলছে না। এটা ধনতান্ত্রিক দেশগুলোর পক্ষে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঠিক এই কারণে আমেরিকা এবং চিনের দ্বন্দ্ব ভারত-চিন সীমান্তে নতুন চেহারায় হাজির হয়েছে।
কিভাবে?
আমেরিকা চাইছে -
১) ভারত চিনের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়া বন্ধ করুক।
২) ভারতের বাজার চিনের জন্য বন্ধ হোক। কারণ চিনের সস্তা জিনিসের সঙ্গে আমেরিকা তথা ধনতান্ত্রিক দেশগুলির দুর্মূল্য পণ্য বিক্রি হচ্ছে না।
ফলে ধণতন্ত্র পৃথিবীজুড়ে গভীরতর সংকটের মধ্যে পড়েছে। আর ধনতন্ত্রের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা পড়েছে মহাসঙ্কটে। তার দরকার ভারতকে পাশে পাওয়া।

আমাদের দেশও পুরোপুরি ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছে। তাই এখানেও সেই সংকট গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। সেটা সারা ভারতবর্ষই জানে। এই সংকট থেকে বেরোতে চাইছে দুটি দেশই। আমেরিকা এবং ভারত।

এক্ষেত্রে ভারতের পাশে যখন চিন দাঁড়িয়েছে, তখনই তা আমেরিকার কাছে শিরো পীড়ার কারণ হয়ে উঠেছে। এবং আমেরিকা ভারতের উপর একের পর এক চাপ সৃষ্টি করেছে রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থাগুলোকে দ্রুত বেসরকারিকরণ করে দেওয়ার। অর্থাৎ ভারতে যেটুকু সম্পদের সামাজিকীকরণ আছে তাও তুলে দাও। এবং সেজন্য দেখা যাচ্ছে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানা দ্রুত বেসরকারি মালিকদের হাতে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে জলের দরে। এগুলো বিক্রি হয়ে গেলে রাষ্ট্রশক্তি অর্থের জন্য পুরোপুরি ধনতন্ত্রের মূল শক্তি দেশি এবং বিদেশি পুঁজিপতিদের অর্থের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। এবং সেই দেশ তখন বাধ্য হবে দেশি-বিদেশি পুঁজিপতিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে।

আমাদের দেশের বর্তমান সরকার, তার যে প্রধান পৃষ্ঠপোষক আরএসএস, এই ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার পৃষ্ঠপোষক। তারাও চায় সরকার দ্রুত রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পত্তিগুলো ধনতান্ত্রিকদের হাতে বিক্রি করে দিক।

সুতরাং ভারত সরকারের উপর বাইরের (আমেরিকার) এবং ভিতরের (আরএসএস) প্রচন্ড চাপের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হচ্ছে। বর্তমান সরকার যেহেতু আরএসএস দ্বারা পরিচালিত সেহেতু সে আগেভাগেই মাথা নত করে বসে আছে। আর এই কারণেই আমেরিকার মতই ভারতের অর্থনীতির হাল খুবই খারাপ।

খারাপ অর্থনীতির প্রভাব সবচেয়ে বেশি কাদের উপর পড়ে? হ্যাঁ, গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের উপরে এই চাপ ভয়ঙ্কর ভাবে পড়ে। আমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছি সেটা কী ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছে।

এটা যে ভয়ঙ্কর চেহারা নেবে, তা ধনতান্ত্রিক মতাদর্শের বোদ্ধা মানুষরা জানে। আমাদের সরকারও জানে। তারা জানে, মানুষ এতে ক্ষুব্ধ হবে। আর তাই ধনতান্ত্রিকদের এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবচেয়ে বড় অস্ত্র ধর্ম। ধর্মীয় ভেদাভেদ করে গরিব ও মধ্যবিত্তকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। তারা যাতে একত্রিত হয়ে বিদ্রোহী হয়ে না ওঠে, তার সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ হচ্ছে ধর্মীয় ভেদাভেদ।

দ্বিতীয় যে অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে, তা হলো জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমকে উগ্রতার মোড়কে উপস্থাপন করে উগ্র জাতীয়য়তাবাদের জন্ম দেওয়া। এই উদ্দেশ্যে অখন্ড ভারতের নতুন মানচিত্র তৈরী করে যুব সমাজের মধ্যে প্রচার করা। একাজ আগেও করা হয়েছে। কিন্তু ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, যা আগে হাত না। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলির কাছে এই বিষয়টি গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মানচিত্রে দেখানো হচ্ছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, তিব্বত, ভুটান, বাংলাদেশ, ব্রহ্মদেশ, শ্রীলঙ্কা মিলে গঠিত হবে অখন্ড ভারতবর্ষ।


শুধু ভারতে নয় সারা বিশ্বজুড়ে ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো এই অস্ত্র ব্যবহার করে চলেছে। সেই ধর্ম কখনও খ্রিষ্টান, কখনো ইসলাম, কখনো হিন্দু। যেখানে যে নামে আছে, সেই নামেই ভেদাভেদ করে ধনতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। বর্তমান ভারত সরকারও তা-ই করছে।

আর এটা করতে গিয়ে ভারত অভ্যন্তরীণ সংকটের মধ্যেও পড়েছে। এককথায় পরিস্থিতি একেবারে লেজে গোবরে। একই পরিস্থিতি পাকিস্তানেরও। আর এই কারণেই মাঝে মাঝে, মানে ভোট আসলেই, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আর পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে ধর্মীয় জিগির তুলে ভেদাভেদ তৈরি করে ভোটে জেতার চেষ্টা করে। সেটা করতে গেলে মাঝে মাঝে বিস্ফোরণ ঘটাতে হয়, ভারত পাকিস্তানকে আক্রমণ করে আবার পাকিস্তান ভারতকে আক্রমণ করে। এভাবেই সংকট গভীর হয়েছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে এই খেলা করতে গিয়ে ভারত ফেঁসেছে। যখনই কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জনগণকে খেপানো হচ্ছে, তখনই প্রশ্ন উঠছে কাশ্মীরের একটা অংশ চিনও তো দখল করে রেখেছে। সেক্ষেত্রে ভারত কেন চুপ রয়েছে? তাহলে ভারত কী চিনকে ভয় পায়? কাগুজে বাঘ পাকিস্তানকে নিয়ে যত আস্ফালন আর রাজনৈতিক ফায়দা তোলা?

পার্লামেন্টে এই ধরণের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই অমিতজি বলে ফেলেছেন, আমরা কাশ্মীরের সমগ্র অংশই আমাদের দখলে নেওয়ার ক্ষমতা রাখি। আর আমরা মুখে যা বলি, তা করে দেখাই। এবং সত্যি সত্যিই অমিতজি যা বলেন, তা করে দেখান। বর্তমান কাশ্মীর নীতি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

ফলে ধণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য যে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা পাকিস্তান আর ভারত শুরু করেছিল, তা শুধুই যে খেলা, এই বিশ্বাস আর প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো সব সময় রাখতে পারছে না। বিশেষ করে চীন ও পাকিস্তান বর্তমান ভারত সরকারের কার্যকলাপকে গভীর সন্দেহের চোখে দেখছে। আর এই সন্দেহ থেকেই দুটো দেশই যৌথভাবে ভারতের উপর চাপ তৈরি করার কৌশল নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এবং সেই কৌশলেরই একটি অঙ্গ চিনের ভারতের ভূখণ্ডে জবরদখল। লক্ষ্য, দখলের পর আলোচনা এবং আলোচনায় শর্ত সাপেক্ষে একটু পিছিয়ে যাওয়া।

প্রকৃতপক্ষে চিন চাইছে না, ভারত ট্রাম্পের সঙ্গে বেশি মাখামাখি করুক। তার জন্য ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রচুর ইনভেস্ট করেছে এবং সহজ শর্তে ঋণও দিয়েছে। শুধু ভারত নয়, ভারতের প্রত্যেকটা প্রতিবেশী দেশকে আর্থিক সহযোগিতা করে এবং ঋণ দিয়ে তাদের আমেরিকাপন্থী হওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করে চলেছে। নেপাল ও শ্রীলংকার অবস্থান নিশ্চয়ই আমাদের নজরে আছে।

এখানেই ভারতের পররাষ্ট্রনীতির আর একটা বড় ভুল ধরা পড়েছে। ভারত বরাবরই জোট নিরপেক্ষ নীতি নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ধনতান্ত্রিক এবং সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মধ্যে সম-দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে। ফলে কোন পক্ষই ভারতের উপর অন্যায্য চাপ তৈরি করতে চায়নি এবং পারেও নি। কিন্তু বর্তমান সরকার আমেরিকার সঙ্গে অত্যধিক মাখামাখি করার কারণে চিনের সন্দেহ আরো বেড়ে গেছে। আর এ কারণেই চিন ভারতীয় দখলে থাকা ভূখণ্ডে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ভারতকে চাপে রাখতে চাইছে।

বামপন্থীরা চিনের এই আগ্রাসনকে সমর্থন করছে না এবং একই রকমভাবে ভারতের জোট নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরে আসাকেও পছন্দ করছে না। এবং সেইজন্যে বামপন্থীদের অবস্থান হলো, চিনের সঙ্গে আলোচনায় বসে, যদি সম্ভব হয়, অসামরিক পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ন্যায্য মীমাংসা করা উচিত।

মন্তব্যসমূহ

বাংলা সাহিত্য : বহুল-পঠিত লেখাগুলো পড়ুন

পশ্চিবঙ্গে কবিতা উৎসব ২০২৩, উদ্বোধন করলেন ব্রাত্য বসু

পশ্চিবঙ্গের বৃহত্তম কবিতা উৎসব ২০২৩ উদ্বোধন করলেন ব্রাত্য বসু ফারুক আহমেদ বুধবার রবীন্দ্র সদন একতারা মঞ্চে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত কবিতা আকাদেমির আয়োজনে ৭ম কবিতা উৎসব ২০২৩-এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান দাগ কেটেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ভারতের বৃহত্তম কবিতা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করলেন উচ্চশিক্ষা এবং বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সভাপতি শ্রী ব্রাত্য বসু, উপস্থিত ছিলেন সভামুখ্য সুবোধ সরকার, মাননীয় সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমি, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, আলাপন বন্দ্যেপাধ্যায়, ব্রততী বন্দ্যেপাধ্যায়, প্রণতি ঠাকুর, কৌশিক বসাক প্রমুখ। রবীন্দ্রসদন, শিশির মঞ্চ, বাংলা আকাদেমি সভাগৃহ, জীবনানন্দ সভাঘর, অবনীন্দ্র সভাঘর, নন্দন-৩, চারুকলা পর্ষদ সংলগ্ন প্রাঙ্গণ ও একতারা মুক্তমঞ্চে উৎসব শুরু হয়েছে। ৩ মে থেকে চলবে ৬ মে ২০২৩ পর্যন্ত। ভারতের বৃহত্তম কবিতা উৎসবে দ্বিতীয় দিনেই শিশির মঞ্চে কবিতা পাঠ করলেন কবি ও উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট কবি।

আসাদ চৌধুরী এখন থেকে চিরজীবিত : মুহম্মদ নূরুল হুদা

বাংলা ও বাঙালির প্রিয় কবি আসাদ চৌধুরী এখন থেকে চিরজীবিত বাংলা ও বাঙালির প্রিয় কবি আসাদ চৌধুরী মুহম্মদ নূরুল হুদা, মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমি বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত কবি, বাংলা একাডেমির ফেলো ও সাবেক পরিচালক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ চৌধুরী আজ ০৫ই অক্টোবর ২০২৩ কানাডার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। এখন থেকে তিনি চিরজীবিত। তিনি অনন্তলোকে চিরশান্তিতে থাকুন। আসাদ চৌধুরী আধুনিক বাংলা কবিতায় এক অনিবার্য নাম, বাংলাদেশের ষাটের দশকের কবিতা আন্দোলনের কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব। তাঁর কবিতায় বাংলার প্রকৃতি ও বাংলাদেশের জনজীবন যেমন অনুপম ব্যঞ্জনায় ভাস্বর হয়েছে তেমনি এদেশের সুদীর্ঘ সংগ্রামী ঐতিহ্য অসাধারণ স্বাতন্ত্র্যে ভাষারূপ পেয়েছে। কবিতার পাশাপাশি প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য, অনুবাদ, জীবনী, ভ্রমণকাহিনিসহ বিচিত্র সাহিত্যক্ষেত্রে ছিল তাঁর সফল ও স্বচ্ছন্দ বিচরণ। সমকালীন বাংলা সাহিত্যে তিনি একজন বহুমাত্রিক স্রষ্টা। বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত তাঁর 'কোন অলকার ফুল', 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ' কিংবা 'সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু'-এর মতো বইগুলো এদেশের কয়েক প্রজন্মের

বেস সাহিত্য উৎসব ২০২৪

বেস সাহিত্য উৎসব ২০২৪ BASE Literary Festival 2024 বাঙালি মুসলিমদের পিছিয়ে পড়ার বহু কারণ বিভিন্ন সময়ে চিহ্নিত করা হয়, তার মধ্যে অনেক কিছু নিয়েই বিতর্ক থাকতে পারে কিন্তু একটি কারণ সম্পর্কে সকলেই সহমত পোষণ করেন, মুসলিম মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবি শ্রেণীর অভাব। সেই অভাব যে পূরণ হয়েছে, সেই প্রমাণ হাজির করতেই বেঙ্গলি অ্যাকাডেমিয়া ফর সোশ্যাল এম্পাওয়ারমেণ্ট বা সংক্ষেপে বেস সম্প্রতি একদিনের সাহিত্যসভার আয়োজন করেছে রবীন্দ্রতীর্থে (নিউটাউন) গত ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪। ঐ সভায় ষাটের অধিক মুসলিমসহ অন্যান্য প্রান্তিক সমাজের সাহিত্যিক, অনুবাদক, আলোচক, অধ্যাপক ও শিক্ষকদের উপস্থিতি শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতে মুসলিম সমাজে নিজস্ব পরিসর সৃষ্টি করে নেওয়ার প্রমাণ উপস্থাপিত করে, যা উল্লেখিত সাহিত্য সভার নিঃসন্দেহে এক উল্লেখযোগ্য দিক। ঐ সাহিত্য সভার দ্বিতীয় উল্লেখযোগ্য দিক ছিল সভার মূখ্য আলোচ্য বিষয় "প্রান্তিক সাহিত্যচর্চার পরিসর"। তৃতীয় কিন্তু গুরুত্বের দিক থেকে কোন অংশেই কম নয় যে বিষয়টি তা হল প্রান্তিক সাহিত্যের দুই ধারা দলিত সাহিত্যিক এবং মুসলিম প্রান্তিক সাহিত্যিকদের মধ্যে ভাবের আদান প্রদানের এ

লেখা পাঠাতে চান? লেখা পাঠানোর নিয়ম জানতে ক্লিক করুন নিচের 'লেখা পাঠান' ট্যাবে

-----------------------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------------------

🙏 সবিনয় আবেদন 🙏

সুধী পাঠক ও লেখকবন্ধু,

বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন যেহেতু কোন বিজ্ঞাপন গ্রহণ করে না, সেহেতু ম্যাগাজিন পরিচালনার সমস্ত খরচ ম্যাগাজিন কতৃপক্ষকেই বহন করতে হয়। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে এই ভার বহন করা দুরহ হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা আপনাদের পত্রিকার গ্রহক হওয়ার অনুরোধ করছি। 

গ্রাহক মুল্য বছরে ১০০ (এক শত) টাকা মাত্র।

নিচের ব্যাংক একাউন্টে গ্রাহক চাঁদা প্রদান করে Transaction ID ইমেল করে পাঠালেই আপনি গ্রাহক হয়ে যাবেন।

আপনারা চাইলে আমাদের আর্থিকভাবে সহায়তাও করতে পারেন।

👩 যে কোন পরিমাণ ( সর্বনিম্ন 10 টাকা / দশ টাকা ) সহায়তা সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করা হবে।
অর্থ পাঠানোর একাউন্টসের বিবরণ :
1) Account Holder's Name : K. N. Mondal
2) Bank Name : Bank Of Baroda
3) Account No. 2759-0100-0151-24
4) IFS CODE : BARB0BRAPUR (Fifth Character is ZERO)
অর্থ পাঠালে অবশ্যই ইমেল করে ট্রাঞ্জাকশন আইডি (Transaction ID) পাঠাতে ভুলবেন না।
আপনার পাঠানো অর্থের অবশ্যই প্রাপ্তি স্বীকার করা হবে।
আমাদের EMAIL ID : nehacomputeraids@gmail.com