অবরোধের কারণে ইরানের জনগণ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে, কিন্তু ব্যাপক চাপ এবং কঠোরতা সত্ত্বেও ইরানি জনগণকে কখনোই পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পেট্রোল-ডিজেল এমনকি খাদ্য সংকটে পড়তে হয়নি বরং এই সময়ের মধ্যে দেশে স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, সড়ক ও রেলসহ বিভিন্ন খাতে বড় বড় সাফল্য এসেছে।
তিনি বলেন, পাশ্চাত্যের সবচেয়ে ধনী দেশগুলো করোনাভাইরাস মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু ইরান নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থেকেও করোনা মোকাবেলায় সঠিক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পেরেছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রতি মাসে ইরানের ৩৫টি গ্রাম জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। যারা তুলনামমূলক কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে তাদের সংখ্যা দেশের জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। আর এই ৩০ শতাংশ মানুষকে কোন ধরণের বিদ্যুৎ বিল দিতে হয় না। বিদ্যুতের পর এখন গ্যাস ও পানির ক্ষেত্রেও সরকার একই পদ্ধতি অনুসরণ করবে বলে তিনি জানান।
ইরানের সরকার বিদ্যুৎ অপচয় রোধে কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ পুরষ্কারের ব্যবস্থা রেখেছে। সরকারের বেধে দেওয়া পরিমাণের চেয়ে বেশি ব্যবহার না করলে ওই গ্রাহককে কোনো বিলই পরিশোধ করতে হয় না।#
মন্তব্যসমূহ