সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আমেরিকার দিকে অভিবাসীদের স্রোত: বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যারাভ্যান সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাজার হাজার অভিবাসী মধ্য আমেরিকান দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

তারা বলছেন, নির্যাতন, দারিদ্র আর সহিংসতা থেকে বাঁচতে তারা নিজেদের দেশ গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস বা এল সালভাদোর থেকে পালিয়ে এসেছেন।

পুরো যাত্রাপথে তারা পানিশূন্যতা, অপরাধী চক্রের মতো বিপদের ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু অনেক অভিবাসী বলছেন, যখন তারা একত্রে অনেক মানুষ মিলে ভ্রমণ করেন, তখন তারা অনেক নিরাপদ বোধ করে।

কিভাবে এই কাফেলার শুরু হলো?

ছবির কপিরাইটAFPImage captionগুয়াতেমালা মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসী স্রোতের মুখোমুখি পুলিশ

গত ১২ অক্টোবর, অপরাধ প্রবণ হন্ডুরাসের শহর সান পেড্রো সুলার ১৬০জন মানুষের একটি দল সেখানকার বাস টার্মিনালে সমবেত হন এবং বিপদজনক এই যাত্রার প্রস্তুতি শুরু করেন।

নিজের দেশের বেকারত্ব আর সহিংসতা থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য একমাসের বেশি সময় ধরে তারা এর জন্য পরিকল্পনা করেছেন।

বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর:

এর আগের বেশিরভাগ অভিবাসী কাফেলাগুলোয় কয়েকশো মানুষ ছিল। কিন্তু সাবেক একজন রাজনীতিবিদ এবারের পরিকল্পনা সম্পর্কে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়ার পর দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

১৩ অক্টোবর যখন ওই ছোট গ্রুপটির যাত্রা শুরু হওয়ার কথা, তখন সেখানে অভিবাসন প্রত্যাশী ১ হাজারের বেশি মানুষ জড়ো হয়েছেন।

এরপর তারা প্রতিবেশী গুয়াতেমালা অতিক্রম করে মেক্সিকোয় পৌঁছান, যে যাত্রাপথে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরো হাজার হাজার মানুষ।

কেন তারা এভাবে একত্রে কাফেলার মতো যাত্রা করছেন?

বেশিরভাগ অভিবাসী বলছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্র বা মেক্সিকোয় নতুন জীবন এবং উন্নত সুযোগের আশা করছেন।

অন্যরা বলছেন, নিজ দেশের সহিংসতা থেকে বাঁচার জন্য তারা পালিয়ে এসেছেন এবং নতুন দেশে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় চাইবেন।

Image captionমধ্য আমেরিকার দেশগুলো থেকে উত্তরে অভিবাসীদের যাত্রা পথ

যেমন হন্ডুরাসে অপরাধী চক্রের সহিংসতা, মাদক যুদ্ধ এবং দুর্নীতি বড় ধরণের সমস্যা। পুরো অঞ্চলটিতে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

''আমাদের স্বপ্ন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া, কারণ আমরা আমাদের সন্তানদের একটি উন্নত ভবিষ্যৎ দিতে চাই। এখানে (হন্ডুরাসে) আমরা কোন কাজ পাইনা'' স্থানীয় একটি সংবাদপত্র এল হেরাল্ডোকে এভাবেই বলছিলেন দুই সন্তানের একজন মা।

যদিও মধ্য আমেরিকান দেশগুলো থেকে অনেক দিন ধরেই অনেক মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে যাবার চেষ্টা করেছে, কিন্তু এভাবে সংগঠিত অভিবাসী স্রোতের ব্যাপারটা একেবারেই নতুন।

অনেক সময় এই অভিবাসীদের মানব পাচারকারী এবং মাদক ব্যবসায়ীরা অপহরণ করে নিজেদের জন্য কাজ করতে বাধ্য করে। তবে এ ধরণের বিশাল গ্রুপকে লক্ষ্যবস্তু করা কঠিন। ফলে তারা অধিক নিরাপত্তা বোধ করেন।

এই স্রোত আসলে কতো বড়?

এটা আসলে সঠিকভাবে বলা কঠিন। তবে যতই উত্তরের দিকে এগোচ্ছে, ততই এর আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ছবির কপিরাইটGETTY IMAGESImage captionমেক্সিকোর একটি নদী থেকে অভিবাসী একটি দলের সঙ্গে থাকা একটি শিশুকে উদ্ধার করা হচ্ছে

জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ২২ অক্টোবরের পর থেকে এই কাফেলায় অন্তত সাত হাজার মানুষ যোগ দিয়েছে।

তবে গ্রুপটি কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে গেছে, ফলে অভিবাসীদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন।

কিছু অভিবাসী এর মধ্যেই মেক্সিকোর টাপাচুলা শহরে পৌঁছে গেছে, তবে বেশিরভাগই এখনো গুয়াতেমালা-মেক্সিকো সীমান্তে আটকে রয়েছেন।

নতুন করে আরো ১ হাজার হন্ডুরাসের অভিবাসীর যাত্রা শুরুর কথা জানা গেছে। অন্যদিকে ৩ হাজারের বেশি অভিবাসী আবার হন্ডুরাসে ফিরে গেছে।

একজন অভিবাসী হিসাবে জীবনযাত্রা আসলে কেমন?

ছবির কপিরাইটGETTY IMAGESImage captionউত্তরের এই যাত্রাপথে সড়কের পাশে বা অস্থায়ী ঘরে রাত কাটাচ্ছেন কাফেলার সদস্যরা

এই মানব স্রোতে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে।

উষ্ণ আবহাওয়া মানে তাদের সূর্যের তাপে পোড়া আর পানিশূন্যতার ঝুঁকিতে পড়তে হয়েছে। অনেক অভিবাসী ছাড়া আর কাগজের টুকরো দিয়ে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেছেন।

টানা ছয়দিন ধরে হাটার পরে অনেকের অচেতন হয়ে পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

অভিবাসীরা সড়কের পাশে বা অস্থায়ী ঘরে ঘুমাচ্ছেন যেখানে পরিষ্কার পানি বা পয়ঃনিষ্কাষনেরও অভাব রয়েছে।

খাবারেরও যোগান স্বল্প। অতিক্রম করার সময় স্থানীয় লোকজন এই কনভয়কে কিছু কিছু খাবার দিচ্ছেন বলে জানা যায়।

গুয়াতেমালা এবং মেক্সিকোর যে সীমান্তে কর্মকর্তারা অভিবাসীদের কাগজপত্র পরীক্ষা করেন, সেখানে দীর্ঘ সময় তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে অভিবাসীদের সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।

কোন কোন অভিবাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়েছে আর পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে, যাতে অনেকে আহত হয়েছেন।

তারা যদি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান, তাহলে কি ঘটবে?

ছবির কপিরাইটGETTY IMAGESImage captionকোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে অভিবাসীদের সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে

কোন যদি নিজ দেশের সহিংসতা থেকে বাঁচার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন, তার আশ্রয়ের আবেদন শোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্স গত জুন মাসে বলেছেন, ভীতির কারণে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয়ের আইনের অতীতে অনেক অপব্যবহার হয়েছে। আর তাই নিজ দেশে সহিংসতা আর অপরাধ চক্রের বিষয় আর আশ্রয়ের জন্য কোন যোগ্যতা হিসাবে বিবেচিত হবে না।

কিন্তু এই নীতি পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে এখন একটি মামলা চলছে, যেখানে একটি সংস্থা অভিযোগ করেছে যে অভিবাসন কর্মকর্তারা অবৈধভাবে শরণার্থী প্রক্রিয়ার বিষয়গুলোয় সময়ক্ষেপণ করছেন।

কেন এই কাফেলা নিয়ে এত বেশি আলোচনা হচ্ছে?

এর আগের ছোটখাটো কাফেলাগুলোর তুলনায় এই অভিবাসী স্রোত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

নিজ দেশ ছেড়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে 'অবৈধভাবে' আসতে দেয়ার অভিযোগ তুলে সোমবার তিনি মধ্য আমেরিকান কয়েকটি দেশের সমালোচনা করেছেন।

Image captionঅভিবাসীদের এই স্রোতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

মি. ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, এসব দেশের জন্য বিদেশী সহায়তা অর্থ কাটছাঁট করা হবে। তবে তিনি পরিষ্কারভাবে বলেননি যে, কত টাকা কাটা হবে অথবা তিনি কিভাবে সেই ব্যবস্থা নেবেন।

প্রেসিডেন্ট পদের প্রচারণার সময় অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করা ছিল মি. ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি।

৬ নভেম্বর মধ্যবর্তী নির্বাচনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে তার রিপাবলিকান পার্টি, যারা প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্রেটদের কাছে হারের মুখোমুখি হতে পারে।

তবে কোন প্রমাণ তুলে না ধরণেও ডোনাল্ড ট্রাম্প অব্যাহতভাবে অভিযোগ করে যাচ্ছেন যে, এই কাফেলার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।

গত সোমবার তিনি এই সীমান্ত সংকটের জন্য ডেমোক্রেটদের দায়ী করার জন্য নাগরিকদের আহবান জানিয়েছেন।

তিনি টুইট করেছেন যে, এই কাফেলায় অপরাধী আর অজানা মধ্যপ্রাচ্যের লোকজন আছে। কিন্তু যখন সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান যে, এর মানে তিনি কি বোঝাতে চান, তখন তিনি তার দাবির পক্ষে কোন প্রমাণ দেননি। বরং সাংবাদিকদেরই সেটি তদন্ত করে দেখতে বলেন।

উৎস : বিবিসি

মন্তব্যসমূহ

লেখা পাঠাতে চান? লেখা পাঠানোর নিয়ম জানতে ক্লিক করুন নিচের 'লেখা পাঠান' ট্যাবে

==========🔰 প্রধান সম্পাদকের কথা 🔰==========


আলী হোসেন
===================
প্রধান সম্পাদক,
বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন,
সমাজ বদলাবে - এটাই চিরন্তন। মানব সভ্যতার সূচনা থেকেই শুরু হয়েছে এই বদলে যাওয়ার যাত্রা। সেই যাত্রা মানুষ থামায় নি, থামবেও না। কিন্তু বদলে যাওয়ার গতি এতটাই বেগবান হয়েছে যে, একে আর ‘ধীর গতি’ বা বাতাসের ‘মৃদুমন্দ’ গতির সাথে তুলনা করা যাচ্ছে না। বিগত তিন দশক ধরে তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মানব সভ্যতা যে বেগে বিকশিত হচ্ছে তার তুলনা ইতিহাসে নেই। আর একারণেই এই বদলে যাওয়াকে আমরা কোন মতেই উপেক্ষা করতে পারব না।

সাহিত্য চর্চার মাধ্যম এই ‘বদল-ঝড়ের’ মুখে পড়েছে। মুদ্রণ-নির্ভর সাহিত্য চর্চার যে ধারা, তার বিকল্প মাধ্যম মুদ্রণ-সাহিত্যের ঘাড়ে বিষ-নিঃশ্বাস ফেলছে। এই বিকল্পকে (বদলকে) মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আর এই বদলে যাওয়া মাধ্যমটাই হল ‘অন-লাইন’ মাধ্যম। বদলাতে যখন হবেই, তখন আসুন-না, একটু আগে-ভাগেই বদলাই।
 
তাছাড়া, অন-লাইন মাধ্যমের কিছু সুবিধাও আছে। ১) প্রতেক পাঠক লেখা পড়ার পর নিজস্ব মতামত জানানোর স্বাধীনতা পায়, মুদ্রণ-সাহিত্যে যা সবসময় পাওয়া যায় না। এতে পাঠক-লেখক কাছাকাছি আসতে পারেন দ্রুত এবং সহজেই। ২) পাঠকের ভৌগোলিক সীমানা সীমাহীন হয়ে যায়। ৩) পাঠক একই খরচে অনেক ম্যাগাজিন পাঠ করার সুযোগ পান। ৪) একই খরচেই তিনি জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনও মেটাতে পারেন।
 
‘বাংলা সাহিত্য’ এই অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর কথাটাও মাথায় রেখেছে। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি আম-বঙালির প্রয়োজনীয় সূলুক-সন্ধান দেওয়ার ব্রত নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলার সাহিত্যাকাশে। মুনাফা নয়, সাহিত্য চর্চার মুক্তাঙ্গন তৈরী করার লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করল ‘বাংলা সাহিত্য’। আপনরা সাথে থাকবেন - এই আশা নিয়েই শুরু করছি আমাদের দ্বিতীয় ভাবনা...>>>

বাংলা সাহিত্য : বহুল-পঠিত লেখাগুলো পড়ুন

চলে গেলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়

‘যেতে হবে’ শুনিয়ে চলে গেলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায় পুতুল মুখোপাধ্যায়কে গান স্যালুট চলে গেলেন ‘একক কন্ঠের গণসংগীত’ শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। ভাষা দিবসের ঠিক ছ’দিন আগে, তাঁর এই চলে যাওয়া, তাঁর অনুরাগীদের জন্য গভীর বেদনার। সম্প্রতি তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেখানে ভর্তি ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কয়েক দিন ধরে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। আজ, শনিবার সকালে, তিনি সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর শোকবার্তায় বলেন, “আধুনিক বাংলা গানের খ্যাতনামা শিল্পী, গীতিকার প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে আমি শোকাহত।” তিনি আরও বলেন, “যতদিন বাংলা গান থাকবে, ততদিন ‘আমি বাংলায় গান গাই’, বাঙালির মুখে মুখে ফিরবে।” ১৯৪২ সালে বর্তমান বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। দেশভাগের পর পিতার সঙ্গে চলে আসেন এদেশে। এরপর তাঁর পিতা প্রভাতচন্দ্র একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। গান্ধীহত্যার পর এই মাদ্রাসায় আয়োজিত একটি শোকসভায় বাবার পরামর্শে তিনি প্রথম ‘পাবলি...

চলে গেলেন কবিতা পাক্ষিক এর পুরোধা পুরুষ প্রভাত চৌধুরী

প্রভাত চৌধুরী। অধুনান্তিক কবিতা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধাপুরুষ এবং কবিতা পাক্ষিকের প্রাণপুরুষ। - লিখেছেন আলী হোসেন। বিশ শতকের ষাটের দশকে শুরু। শেষ করলেন একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকে। কবি প্রভাত চৌধুরী লিখেছিলেন, 'আমি মূলত পক্ষাঘাতগ্রস্ত অথর্ব সভ্যতার জারজ সন্তান'। কী বোঝাতে  চেয়েছিলেন তিনি? গবেষকরা নিশ্চয়ই তা অনুসন্ধানে বসবেন। প্রভাত চৌধুরীর জন্ম ১৯৪৪ সালের ১৬ জুন বাঁকুড়া জেলায়। পরে কর্মসূত্রে আসেন কলকাতার ভবানীপুরে, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে। তবে কবিতা নিয়ে তার আলাদা বাসরঘর গড়ে উঠেছিল পটলডাঙ্গা স্ট্রিটে। 'কৃত্তিবাস' পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর কবিতা। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘শুধু প্রেমিকার জন্য'। কবিতা নিয়েই ছিল তার দিনযাপন এবং নিশিযাপন। তবে শুধু কবিতার জন্যে নয়, সমগ্র বাংলা সাহিত্যের জন্যেও নিবেদিত ছিল তাঁর মনপ্রাণ। আশির দশকে সাময়িকভাবে জীবন নদীর ভাটার টানে নিজেকে গুটিয়ে রাখলেও নয়ের দশকে শুরু হয় নতুন উদ্যমে পথ চলা। এই সময়ই শুরু করেন (১৯৯৩ সাল থেকে) পত্রিকা ‘কবিতা পাক্ষিক’ প্রকাশ ও প্রচার। এরপর এই পত্রিকাই ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে বাংলার নতুনধারার তরুণ কবিদে...

পশ্চিবঙ্গে কবিতা উৎসব ২০২৩, উদ্বোধন করলেন ব্রাত্য বসু

পশ্চিবঙ্গের বৃহত্তম কবিতা উৎসব ২০২৩ উদ্বোধন করলেন ব্রাত্য বসু ফারুক আহমেদ বুধবার রবীন্দ্র সদন একতারা মঞ্চে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত কবিতা আকাদেমির আয়োজনে ৭ম কবিতা উৎসব ২০২৩-এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান দাগ কেটেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ভারতের বৃহত্তম কবিতা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করলেন উচ্চশিক্ষা এবং বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সভাপতি শ্রী ব্রাত্য বসু, উপস্থিত ছিলেন সভামুখ্য সুবোধ সরকার, মাননীয় সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমি, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, আলাপন বন্দ্যেপাধ্যায়, ব্রততী বন্দ্যেপাধ্যায়, প্রণতি ঠাকুর, কৌশিক বসাক প্রমুখ। রবীন্দ্রসদন, শিশির মঞ্চ, বাংলা আকাদেমি সভাগৃহ, জীবনানন্দ সভাঘর, অবনীন্দ্র সভাঘর, নন্দন-৩, চারুকলা পর্ষদ সংলগ্ন প্রাঙ্গণ ও একতারা মুক্তমঞ্চে উৎসব শুরু হয়েছে। ৩ মে থেকে চলবে ৬ মে ২০২৩ পর্যন্ত। ভারতের বৃহত্তম কবিতা উৎসবে দ্বিতীয় দিনেই শিশির মঞ্চে কবিতা পাঠ করলেন কবি ও উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট কবি। ...
বাংলা সাহিত্য :  অনলাইন  ম্যাগাজিন, গ্রাহক হওয়ার নিয়ম
বাংলা সাহিত্য : গ্রাহক হওয়ার নিয়ম

🙏সবিনয় আবেদন

সুধী পাঠক ও লেখকবন্ধু,

বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন যেহেতু কোন বিজ্ঞাপন গ্রহণ করে না, সেহেতু ম্যাগাজিন পরিচালনার সমস্ত খরচ ম্যাগাজিন কতৃপক্ষকেই বহন করতে হয়। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে এই ভার বহন করা দুরহ হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা আপনাদের পত্রিকার গ্রহক হওয়ার অনুরোধ করছি। 

গ্রাহক মুল্য বছরে ১০০ (এক শত) টাকা মাত্র।

নিচের ব্যাংক একাউন্টে গ্রাহক চাঁদা প্রদান করে Transaction ID ইমেল করে পাঠালেই আপনি গ্রাহক হয়ে যাবেন।

আপনারা চাইলে আমাদের আর্থিকভাবে সহায়তাও করতে পারেন।

👩 গ্রাহক চাঁদা (১০০ টাকা), অথবা সহায়তা (সর্বনিম্ন 10 টাকা) পাঠাতে নিচের QR CODE SCAN করুন।

বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিনের গ্রাহক চাঁদা পাঠানোর QR CODE
গ্রাহক চাঁদা অথবা সহায়তা পাঠানোর QR CODE
এছাড়া
NET BANKING করেও গ্রাহক চাঁদা পাঠাতে পারেন।
অর্থ পাঠানোর একাউন্টসের বিবরণ :
1) Account Holder's Name : K. N. Mondal
2) Bank Name : Bank Of Baroda
3) Account No. 2759-0100-0151-24
4) IFS CODE : BARB0BRAPUR (Fifth Character is ZERO)
অর্থ পাঠালে অবশ্যই ইমেল করে ট্রাঞ্জাকশন আইডি (Transaction ID) পাঠাতে ভুলবেন না।
আপনার পাঠানো অর্থের অবশ্যই প্রাপ্তি স্বীকার করা হবে।
আমাদের EMAIL ID : editorbsali@gmail.com