সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অসমে বাঙালিদের হয়ে লিখে যিনি হুমকির মুখে 



কলকাতার একটি দৈনিকে কলম ধরে রাষ্ট্রের কোপে পড়েছেন অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য৷ তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এফআইআর করা হয়েছে৷ চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা ও হুমকি৷

অসমে ‘বাঙালি খেদাও' অভিযানের বিরুদ্ধে সরব তপোধীর ভট্টাচার্য৷ গণতান্ত্রিক অধিকার থেকেই তিনি কলকাতার একটি দৈনিকে ভারতের অসম রাজ্যের বাঙালিদের অসহায় অবস্থার কথা লিখেছিলেন৷ লেখাটির অপব্যাখা করে প্রাক্তন উপাচার্য, তথা শিলচরের ‘নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় সমিতি'র সভাপতি তপোধীরের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে৷ এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশিষ্ট বাঙালিরা৷ সার্বিক পরিস্থিতি জানতে তপোধীর ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছে ডয়চে ভেলে

ডয়েচ ভেলে: অসমে বাঙালিদের ভবিষ্যৎ কী?

তপোধীর: এর উত্তর দেওয়ার আগে পরিপ্রেক্ষিতটা জানা দরকার৷ অসমে বাঙালিদের ভবিষ্যৎ সেদিনই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল, যখন রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী গোপীনাথ বরদোলোই শিলংয়ে প্রথম অধিবেশনে স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, ‘‘এখন আর বাঙালিরা ইচ্ছে করলেও অসমীয়ারদের উপর কোনো দখলদারি কায়েম করতে পারবে না৷ এখন থেকে অসমের সমস্ত দায়ভার অসমীয়াদের উপর বর্তাবে৷'' স্বাধীনতার বছরেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘বাঙালিরা এখন যদি এ রাজ্যে থাকতে চান, তাহলে থাকতে হবে অসমীয়াদের প্রভুত্ব স্বীকার করেই৷''

সেই ভাবনার কোনো প্রতিফলন কি এখন দেখা যাচ্ছে?

হ্যাঁ, তাই তো হচ্ছে৷ ২০১৭ সালের অসমকে দেখুন, গুয়াহাটির রাজপথে অসমীয়া ভাষায় শোনা যাচ্ছে, বাঙালির আস্ফালন চলবে না৷ প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর কথার সুরে সেখানে বলা হচ্ছে, আসামে থাকতে গেলে অসমীয়াদের প্রভুত্ব মানতে হবে৷ গণতান্ত্রিক দেশে প্রভুত্ব কথাটা বা প্রভু-ভৃত্য সম্পর্ক আসছে কোথা থেকে? বাঙালিসহ বোড়ো, কার্বি, মিশিং, রাভা, মাড় ইত্যাদি সব উপজাতি মিলে একটা বহুস্বরিক অসম তৈরি করেছে৷ অসমীয়ারা সংখ্যাগুরু৷ তাই তাঁদের কিছু সুবিধা থাকবেই৷ কিন্তু তার মানেই কি সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করা! এখানেই আধিপত্যবাদ আসছে৷ গোটা পৃথিবীতে আজ যে দক্ষিণপন্থি পুনর্জাগরণের হাওয়া উঠেছে, তাতেই অসমিয়া আধিপত্যবাদ মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে৷

অসমে নাকি এখন বাঙালিদের বিদেশি তকমাও দেওয়া হচ্ছে?

আসামে জাতিবিদ্বেষী ধ্যানধারণা থেকে এখন বিদেশি শব্দটা প্রয়োগ করা হচ্ছে বাঙালিদের ক্ষেত্রে৷ বিদেশি কথাটা আসছে কী করে? ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের আগে অখণ্ড ভারতের একটি অঞ্চল থেকে আরেকটি অঞ্চলে লোকজন এলে তাকে কী করে বিদেশি বলা যায়? যে অঞ্চল থেকে এসেছে, বা যে অঞ্চলে এসেছে, সেটা অখণ্ড ভারতের অংশ৷ সেটা নিয়ে অপপ্রচার চলছে, বাংলাদেশিরা অসমের দখল নিয়েছেন৷

আবার দেখুন, অসমে ৩ কোটি ১২ লাখের মধ্যে অসমীয়াদের সংখ্যা দেড় কোটি৷ বাকি ৯০ লক্ষ বাঙালি৷ তাহলে আসামের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-জনবিন্যাস কী করে বিপন্ন হচ্ছে সংখ্যালঘু বাঙালিদের জন্য? এই গত ৩০-৪০ বছরের অবস্থান দেখুন, এই সময়টা নানা অজুহাতে বাঙালিবিরোধী অভিযান তুঙ্গে উঠেছে৷ এই সময়ে অসমীয়া সাহিত্য-চলচ্চিত্র, শিল্পকলা-নাটক যেভাবে জাতীয় স্তরে বা আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নত হয়েছে, বাঙালিরা অসমীয়া সংস্কৃতি গ্রাস করলে তা কি সম্ভব হতো?

অসমের সাধারণ মানুষ এই বাঙালিবিরোধী অ্যাজেন্ডায় কোন অবস্থানে রয়েছে?

অসমীয়া দিনমজুর, কৃষক বা বাঙালি কৃষক বা দিনমজুরে তফাত নেই৷ তফাত হয় মধ্যবিত্ত এলিট শ্রেণীতে৷ সুবিধা ভোগের জন্য পারসিভ ডেঞ্জার (বিপদের অনুমান) সিন্ড্রোমে ভোগেন এলিটরা৷ বিপদ নয়, বিপদের অনুমান৷ তাতেই সমস্যা৷ এই বোধ হয় আমাদের সবকিছু কেড়ে নিলো, আমাদের মেরে ফেললো৷ এই আতঙ্কই পারসিভ ডেঞ্জার সিন্ড্রোম৷

আজকাল আমার মনে হয়, দেশভাগের সময় আমাদের পূর্বজরা এক কথায় যদি না পালিয়ে আসতেন, ভালো করতেন৷ যা আসলে ঘটেছিল, তার থেকে পারসিভড ডেঞ্জার ছিল বেশি৷ তাঁরা যদি দাঁড়িয়ে লড়াই করতেন, তাহলে ভাল হতো৷

ঠিক এই পারসিভড ডেঞ্জারের জন্যই রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জিতে বাঙালিদের নাম কাটা যাচ্ছে৷ আধিপত্যবাদই চেপে ধরছে আধিকারিকদের হাত৷ এর পেছনে আরেকটা রাজনৈতিক কারণও আছে৷ প্রতিটি নির্বাচন চক্র থেকে যদি বিশেষ কিছু লোককে বাদ দেওয়া যায়, তাহলে রাজনৈতিক সুবিধাভোগীরা ক্ষমতা দখলের জন্য এগোতে সুবিধা পাবে৷ কালনেমির লঙ্কা ভাগের মতো তাঁরা সব গুছিয়ে নিচ্ছেন৷

রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি নিয়ে কী বলবেন?

৩১ ডিসেম্বর,২০১৭-এর প্রথম খসড়ায় দেখলাম আমার বা আমার পরিবারের নাম নেই৷ এমনিই বাদ হয়ে গিয়েছে! ভিত্তিহীন দলিলের উপর নাগরিক পঞ্জি তৈরি হচ্ছে৷ তাতে সচেতনভাবে বাঙালিদের নাম বাদ৷ চূড়ান্ত খসড়ায় সেই তালিকা থেকেও বহু নাম বাদ যাবে৷

তা-ও আমরা অপেক্ষা করছি ৩১ শে জুলাইয়ের জন্য৷ যতই দুঃখ থাক, ক্ষোভ থাক, আবেদন করার সুযোগ থাকলে আবেদনও করবো৷ কিন্তু যাঁরা অতি সাধারণ মানুষ, তাঁরা তো এসব কিছু বোঝে না৷ তাঁদের জন্য কথা বলতে হবে৷ গণতান্ত্রিক দেশে আমার দায়িত্বজ্ঞান, মূল্যবোধ তাই বলে৷

আর এনআরসি-র সিস্টেমের মধ্যে সম্ভবত কিছু ত্রুটি বা বিচ্যুতি আছে৷ আমাদের সেটা দেখাতে হবে৷ আমরা চাইছি শুদ্ধ এনআরসি হোক৷ সমস্ত বৈধ ভারতীয়র নাম যুক্ত হোক৷ বৈধ ভারতীয় বলতে ভারতের অখণ্ড ভারতে্র সন্ততির কথাই বলছি৷

এই পরিস্থিতিতে অসমের আমবাঙালিদের অবস্থান কিরকম?

এই প্রশ্নের উত্তরে স্বজাতির নিন্দা করতে হয়৷ চাকরিজীবী বাঙালিদের সংখ্যা অসমে বেশি৷ তাঁরা চুপচাপ আছেন৷ সরকারবিরোধী কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন৷ নো ম্যানস ল্যান্ডে তাঁদের এই অবস্থানও নিরাপদ নয়৷ হিন্দুস্থানে হিন্দুদের কোনও ক্ষতি হবে না৷ এমনটাই ধারণা তাদের৷ আর বাঙালি মুসলমানেরা কী ভাবছেন, সেটা বলতে পারব না৷ বাংলাভাষায় কথা বললেই এখানে বাংলাদেশি হয়ে যাচ্ছেন৷ বাঙালিদের এখনো ঘুম ভাঙেনি৷ আমাদের এক রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, প্রতিদিন ৬ হাজার করে বাংলাদেশি অসমে ঢুকছে৷ তাহলে তো এতদিনে বাংলাদেশে আর একটি লোকও থাকতো না! এটা সাম্প্রদায়িক দুর্গন্ধ ছড়ানোর কাজ৷ এতে ভারতের জাতীয় সংহতি বিপন্ন হচ্ছে৷

মুক্তির উপায়?

গণতন্ত্রের স্বার্থে সব বাঙালিকে এই লড়াই লড়তে হবে৷ ভারতীয় সংবিধানের পবিত্রতা বজায় রেখে এই লড়াই ভারতের জন্যই লড়তে হবে৷ বাঙালি জাতিরই ক্ষুদিরাম থেকে মাতঙ্গিনী এই ধর্মনিরপেক্ষ ভারত গড়তে প্রাণ দিয়েছিলেন৷ কাজেই কে কোন ভাষায় কথা বলেন, তার ভিত্তিতে আজ বিভাজন করা চলবে না৷

মন্তব্যসমূহ

লেখা পাঠাতে চান? লেখা পাঠানোর নিয়ম জানতে ক্লিক করুন নিচের 'লেখা পাঠান' ট্যাবে

==========🔰 প্রধান সম্পাদকের কথা 🔰==========


আলী হোসেন
===================
প্রধান সম্পাদক,
বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন,
সমাজ বদলাবে - এটাই চিরন্তন। মানব সভ্যতার সূচনা থেকেই শুরু হয়েছে এই বদলে যাওয়ার যাত্রা। সেই যাত্রা মানুষ থামায় নি, থামবেও না। কিন্তু বদলে যাওয়ার গতি এতটাই বেগবান হয়েছে যে, একে আর ‘ধীর গতি’ বা বাতাসের ‘মৃদুমন্দ’ গতির সাথে তুলনা করা যাচ্ছে না। বিগত তিন দশক ধরে তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মানব সভ্যতা যে বেগে বিকশিত হচ্ছে তার তুলনা ইতিহাসে নেই। আর একারণেই এই বদলে যাওয়াকে আমরা কোন মতেই উপেক্ষা করতে পারব না।

সাহিত্য চর্চার মাধ্যম এই ‘বদল-ঝড়ের’ মুখে পড়েছে। মুদ্রণ-নির্ভর সাহিত্য চর্চার যে ধারা, তার বিকল্প মাধ্যম মুদ্রণ-সাহিত্যের ঘাড়ে বিষ-নিঃশ্বাস ফেলছে। এই বিকল্পকে (বদলকে) মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আর এই বদলে যাওয়া মাধ্যমটাই হল ‘অন-লাইন’ মাধ্যম। বদলাতে যখন হবেই, তখন আসুন-না, একটু আগে-ভাগেই বদলাই।
 
তাছাড়া, অন-লাইন মাধ্যমের কিছু সুবিধাও আছে। ১) প্রতেক পাঠক লেখা পড়ার পর নিজস্ব মতামত জানানোর স্বাধীনতা পায়, মুদ্রণ-সাহিত্যে যা সবসময় পাওয়া যায় না। এতে পাঠক-লেখক কাছাকাছি আসতে পারেন দ্রুত এবং সহজেই। ২) পাঠকের ভৌগোলিক সীমানা সীমাহীন হয়ে যায়। ৩) পাঠক একই খরচে অনেক ম্যাগাজিন পাঠ করার সুযোগ পান। ৪) একই খরচেই তিনি জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনও মেটাতে পারেন।
 
‘বাংলা সাহিত্য’ এই অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর কথাটাও মাথায় রেখেছে। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি আম-বঙালির প্রয়োজনীয় সূলুক-সন্ধান দেওয়ার ব্রত নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলার সাহিত্যাকাশে। মুনাফা নয়, সাহিত্য চর্চার মুক্তাঙ্গন তৈরী করার লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করল ‘বাংলা সাহিত্য’। আপনরা সাথে থাকবেন - এই আশা নিয়েই শুরু করছি আমাদের দ্বিতীয় ভাবনা...>>>

বাংলা সাহিত্য : বহুল-পঠিত লেখাগুলো পড়ুন

চলে গেলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়

‘যেতে হবে’ শুনিয়ে চলে গেলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায় পুতুল মুখোপাধ্যায়কে গান স্যালুট চলে গেলেন ‘একক কন্ঠের গণসংগীত’ শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। ভাষা দিবসের ঠিক ছ’দিন আগে, তাঁর এই চলে যাওয়া, তাঁর অনুরাগীদের জন্য গভীর বেদনার। সম্প্রতি তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেখানে ভর্তি ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কয়েক দিন ধরে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। আজ, শনিবার সকালে, তিনি সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর শোকবার্তায় বলেন, “আধুনিক বাংলা গানের খ্যাতনামা শিল্পী, গীতিকার প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে আমি শোকাহত।” তিনি আরও বলেন, “যতদিন বাংলা গান থাকবে, ততদিন ‘আমি বাংলায় গান গাই’, বাঙালির মুখে মুখে ফিরবে।” ১৯৪২ সালে বর্তমান বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। দেশভাগের পর পিতার সঙ্গে চলে আসেন এদেশে। এরপর তাঁর পিতা প্রভাতচন্দ্র একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। গান্ধীহত্যার পর এই মাদ্রাসায় আয়োজিত একটি শোকসভায় বাবার পরামর্শে তিনি প্রথম ‘পাবলি...

চলে গেলেন কবিতা পাক্ষিক এর পুরোধা পুরুষ প্রভাত চৌধুরী

প্রভাত চৌধুরী। অধুনান্তিক কবিতা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধাপুরুষ এবং কবিতা পাক্ষিকের প্রাণপুরুষ। - লিখেছেন আলী হোসেন। বিশ শতকের ষাটের দশকে শুরু। শেষ করলেন একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকে। কবি প্রভাত চৌধুরী লিখেছিলেন, 'আমি মূলত পক্ষাঘাতগ্রস্ত অথর্ব সভ্যতার জারজ সন্তান'। কী বোঝাতে  চেয়েছিলেন তিনি? গবেষকরা নিশ্চয়ই তা অনুসন্ধানে বসবেন। প্রভাত চৌধুরীর জন্ম ১৯৪৪ সালের ১৬ জুন বাঁকুড়া জেলায়। পরে কর্মসূত্রে আসেন কলকাতার ভবানীপুরে, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে। তবে কবিতা নিয়ে তার আলাদা বাসরঘর গড়ে উঠেছিল পটলডাঙ্গা স্ট্রিটে। 'কৃত্তিবাস' পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর কবিতা। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘শুধু প্রেমিকার জন্য'। কবিতা নিয়েই ছিল তার দিনযাপন এবং নিশিযাপন। তবে শুধু কবিতার জন্যে নয়, সমগ্র বাংলা সাহিত্যের জন্যেও নিবেদিত ছিল তাঁর মনপ্রাণ। আশির দশকে সাময়িকভাবে জীবন নদীর ভাটার টানে নিজেকে গুটিয়ে রাখলেও নয়ের দশকে শুরু হয় নতুন উদ্যমে পথ চলা। এই সময়ই শুরু করেন (১৯৯৩ সাল থেকে) পত্রিকা ‘কবিতা পাক্ষিক’ প্রকাশ ও প্রচার। এরপর এই পত্রিকাই ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে বাংলার নতুনধারার তরুণ কবিদে...

পশ্চিবঙ্গে কবিতা উৎসব ২০২৩, উদ্বোধন করলেন ব্রাত্য বসু

পশ্চিবঙ্গের বৃহত্তম কবিতা উৎসব ২০২৩ উদ্বোধন করলেন ব্রাত্য বসু ফারুক আহমেদ বুধবার রবীন্দ্র সদন একতারা মঞ্চে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত কবিতা আকাদেমির আয়োজনে ৭ম কবিতা উৎসব ২০২৩-এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান দাগ কেটেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ভারতের বৃহত্তম কবিতা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করলেন উচ্চশিক্ষা এবং বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সভাপতি শ্রী ব্রাত্য বসু, উপস্থিত ছিলেন সভামুখ্য সুবোধ সরকার, মাননীয় সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমি, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, আলাপন বন্দ্যেপাধ্যায়, ব্রততী বন্দ্যেপাধ্যায়, প্রণতি ঠাকুর, কৌশিক বসাক প্রমুখ। রবীন্দ্রসদন, শিশির মঞ্চ, বাংলা আকাদেমি সভাগৃহ, জীবনানন্দ সভাঘর, অবনীন্দ্র সভাঘর, নন্দন-৩, চারুকলা পর্ষদ সংলগ্ন প্রাঙ্গণ ও একতারা মুক্তমঞ্চে উৎসব শুরু হয়েছে। ৩ মে থেকে চলবে ৬ মে ২০২৩ পর্যন্ত। ভারতের বৃহত্তম কবিতা উৎসবে দ্বিতীয় দিনেই শিশির মঞ্চে কবিতা পাঠ করলেন কবি ও উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট কবি। ...
বাংলা সাহিত্য :  অনলাইন  ম্যাগাজিন, গ্রাহক হওয়ার নিয়ম
বাংলা সাহিত্য : গ্রাহক হওয়ার নিয়ম

🙏সবিনয় আবেদন

সুধী পাঠক ও লেখকবন্ধু,

বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন যেহেতু কোন বিজ্ঞাপন গ্রহণ করে না, সেহেতু ম্যাগাজিন পরিচালনার সমস্ত খরচ ম্যাগাজিন কতৃপক্ষকেই বহন করতে হয়। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে এই ভার বহন করা দুরহ হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা আপনাদের পত্রিকার গ্রহক হওয়ার অনুরোধ করছি। 

গ্রাহক মুল্য বছরে ১০০ (এক শত) টাকা মাত্র।

নিচের ব্যাংক একাউন্টে গ্রাহক চাঁদা প্রদান করে Transaction ID ইমেল করে পাঠালেই আপনি গ্রাহক হয়ে যাবেন।

আপনারা চাইলে আমাদের আর্থিকভাবে সহায়তাও করতে পারেন।

👩 গ্রাহক চাঁদা (১০০ টাকা), অথবা সহায়তা (সর্বনিম্ন 10 টাকা) পাঠাতে নিচের QR CODE SCAN করুন।

বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিনের গ্রাহক চাঁদা পাঠানোর QR CODE
গ্রাহক চাঁদা অথবা সহায়তা পাঠানোর QR CODE
এছাড়া
NET BANKING করেও গ্রাহক চাঁদা পাঠাতে পারেন।
অর্থ পাঠানোর একাউন্টসের বিবরণ :
1) Account Holder's Name : K. N. Mondal
2) Bank Name : Bank Of Baroda
3) Account No. 2759-0100-0151-24
4) IFS CODE : BARB0BRAPUR (Fifth Character is ZERO)
অর্থ পাঠালে অবশ্যই ইমেল করে ট্রাঞ্জাকশন আইডি (Transaction ID) পাঠাতে ভুলবেন না।
আপনার পাঠানো অর্থের অবশ্যই প্রাপ্তি স্বীকার করা হবে।
আমাদের EMAIL ID : editorbsali@gmail.com