নিউজিল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন যে, আল-নূর মসজিদে লাশগুলো সরিয়ে নেবার সময় বাড়তি একটি লাশটি পাওয়া গেছে৷ সব মিলিয়ে এখানে ৪২টি লাশ পাওয়া গেছে৷ এছাড়া লিনউড মসজিদে আরো সাতজন এবং ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে নেয়ার পর একজনের মারা যান৷
এখনো ৩৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, যাদের মধ্যে ২ থেকে ৪ বছর বয়সি শিশুরাও আছে৷
মুসলিম ঐতিহ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘন্টার মধ্যে লাশ দাফনের নিয়ম রয়েছে৷ ক্রাইস্টচার্চের মেয়র লিয়ানে ডালজিয়েল বলেন যে, দাফনের জন্য জায়গা প্রস্তুত করা হয়েছে যেন দ্রুততম সময়ে লাশ কবর দেয়া যায়৷
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ব্রেন্টন ছাড়াও আরো কতজন জড়িত তা খুঁজে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার বুশ৷ তিনি বলেন, ‘‘কতজন এতে জড়িত ছিলেন সে বিষয়ে আমি এখনই কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে চাই না৷ তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কিছু একটা জানাতে পারব বলে আশা করি৷''
এদিকে, শনিবার আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা৷ এদের বেশিরভাগই সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিযা, তুরস্ক, সোমালিয়া ও আফগানিস্তানের শরণার্থী ও অভিবাসী৷
কালো হেডস্কার্ফ পরা প্রধানমন্ত্রী এ সময় জানান যে, তুরস্ক, বাংলাদেশ ও মালয়শিয়ার দূতাবাস নিজ নিজ দেশের হতাআহতদের পরিবার ও বেঁচে যাওয়াদের সহযোগিতা দিচ্ছে৷
নিউজিল্যান্ডে ধর্ম পালনের স্বাধীনতা যেন অটুট থাকে তা নিশ্চিত করবেন বলে জানান জেসিন্ডা৷ তিনি আরো বলেন যে, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন৷ বলেন যে, টেরান্ট নিজের নামে পাঁচটি বন্দুক কিনে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করেছেন৷
‘‘আগ্নেয়াস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনতেই হবে,'' বলেন তিনি৷ নিউজিল্যান্ডের আড়াই লাখ মানুষের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স আছে এবং সামরিক ধরনের সেমি-অটোমেটিক বন্দুকগুলোই কেবল নিবন্ধন করতে হয়৷
বিশ্লেষকরা বলেন, নিউজিল্যান্ডে প্রায় ১৫ লাখ আগ্নেয়াস্ত্র মানুষের কাছে রয়েছে৷ তবে সেগুলো ঠিক কোথায়, কার কাছে আছে, তার কোনো তথ্য নেই৷
মন্তব্যসমূহ